It was always a mystery to me why the churches of Ireland were filled with women, and empty of men. I looked up at the crucifix and thought it was a bizarre thing for women to worship a man in a church run by men. As far as I was concerned being a Catholic was silly, and being a Jew meant so much more washing-up. What all religions do, however, is what most political systems fail to do — they prize and praise the figure of the mother.
She is the machine, the hidden power. She is the ideal, the revered one, the truly loved. Which makes up, in a way, for being skipped in shop queues and looking like a heap.
And more. On the third night of my child’s life I looked into her eyes and realised that nothing I believed could explain this. It was an embarrassing moment. I think I saw her soul. I suffered from the conviction that a part of her was ancient; and that part chose to be there with me at the beginning of something new. I had a wise child.
Carrying her out of the hospital and into the noise of the traffic; driving her home in second gear; feeding her in the middle of the night, and at the beginning of the night, and at dawn — so precious — I found myself shrinking in the face of her vast and unknowable future. How would she turn out? What would she do? When would she die? Not for many, many years, I hoped; not for the longest time. The mechanisms of fate, the grinding of her days that would lead to one end or another, became urgently opaque to me. There were a thousand things that could hurt this child, or even estrange her from me. What could I do? Nothing. My best.
These are all feelings that religion understands.
I had, I thought, become human in a different and perhaps more radical way. I had let something slip into the stream of time. What else can you do, but trust the river — put it all into the hands of a higher power?
Oh, all right.
And who else, but the suffering Christ, could know the suffering that motherhood brings?
Actually, I will resist the tug of it, if you don’t mind. Still, I will resist.
Anne Enright, ‘God’ in Making Babies: Stumbling into Motherhood, London: Vintage, 2005, 111-12.
***
Children are actually a form of brainwashing. They are a cult, a perfectly legal cult. Think about it. When you join a cult you are undernourished, you are denied sleep, you are forced to do repetitive and pointless tasks at random hours of the day and night, then you stare deep into your despotic leader’s eyes, repeating meaningless phrases, or mantras, like Ooh da gorgeous. Yes, you are! Cult members, like parents, are overwhelmed by spiritual feelings and often burst into tears. Cult members, like parents, spout nonsense with a happy, blank look in their eyes. They know they’re sort of mad, but they can’t help it. They call it love.
From ‘Baby-Talk’ in Anne Enright, Making Babies: Stumbling into Motherhood, London: Vintage, 2005, 138.
আমার কাছে সর্বদা এটি একটি রহস্য যে আয়ারল্যান্ড এর গীর্জাগুলি কেন মহিলাদের দ্বারা পরিপূর্ণ আর পুরুষ শুন্য থাকে। ক্রূশবিদ্ধ যীশুর মূর্তির দিকে তাকিয়ে আমার মনে হয়, মাহিলাদের পুরুষ চালিত গির্জাতে একটি পুরুষকে আরাধনা করা অতি আশ্চর্জজনক বিষয়। আমার কাছে ক্যাথলিক ধর্ম অবলম্বন করা নির্বুদ্ধিতা; ইহুদি হওয়া আরো বেশি মাত্রাতে তাই। সব ধর্ম সেটাই করে যা কোনো রাজনৈতিক তত্ত্বপদ্ধতি করতে স্বক্ষম হয় না। সব ধর্মই মাতৃত্বকে পুরস্কৃত করে; প্রশংসা করে মাতৃত্বের। তারা প্রচার করে মাতৃত্ব একটি অদৃশ্য শক্তি। মা একটি আদর্শ ; তিনি পূজনীয়; মায়েরই ঘেটে প্রকৃত ভালোবাসা প্রাপ্তি। এইভাবেই ধৰ্ম পূর্ণ করে মায়েদের সমস্ত অপ্রাপ্তি - নারী হিসেবে তাদের সর্ব সমোক্ষে অগ্রাহ্য হওয়া, বা তাদের শারীরিক সৌন্দর্য হারিয়ে যাওয়ার কষ্ট, এবং আরো অনেক না পাওয়া।
আমার কন্যা সন্তানের জীবনের তৃতীয় রাতে, তার চোখের দিকে তাকিয়ে আমার যে উপলব্ধি হয়, আমার মনে হয়ে না আমার অবলম্বন করা কোনো বিশ্বাসই তার সঠিক ব্যাখ্যা করতে পারবে। সেটি ছিল একটি বিব্রতকর মুহুর্ত । আমার মনে হয়েছিল আমি যেন সেই মুহুর্তে তার অন্তরাত্মা দেখতে পাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মায় যে আমার সন্তানের একটি অংশ আদি - প্রাচীন-অনন্ত, অপরটি আমার সঙ্গে রয়েছে কোনো এক নুতন শুভারম্ভের সূচনাতে। আমার সদ্যজাতো কন্যা যেন জ্ঞানের প্রতিরূপ ।
আমার সন্তানকে হাসপাতালের বাইরে যানবাহনের কোলাহলের মাঝে নিয়ে আসা, দ্বিতীয় গিয়ার্ এ গাড়ি চালিয়ে বাড়ি নিয়ে আসা , তাকে মধ্য রাত্রিতে বা ভোরে খাওয়ানোর অতি মূল্যবান মুহূর্তগুলির মধ্যে আমি যেন তার বৃহৎ অজানা ভবিষৎয়ের চিন্তায় তলিয়ে যেতে থাকি। কেমন মানুষ হয়ে উঠবে ও ? কি করবে ও? ওর মৃত্যুর দিনক্ষণই বা কবে ? আমি আশা করি তা যেন আগামী বহু বহু বছরের মধ্যে নয়। আগামী দীর্ঘ সময়ের মধ্যে নয়। কালের গতি যা ওর পরিণতি নির্ধারণ করবে আমার কাছে দ্রুত অস্বচ্ছ হয়ে আসে। এই অনিশ্চিত জীবনে , বহু কিছু আমার সন্তানের ক্ষতি করতে পারে , ওকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে আমার থেকে। কিন্তু কি করতে পারবো আমি তা প্রতিরোধ করতে ? কিচ্ছুই নয়; আমি শুধু আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে পারবো।
মানুষের এই অনুভূতিগুলিই ধর্ম উপলব্ধি করতে পারে।
আমার মনে হয়েছিল আমি সাধারণের পরিধি ভেঙে একজন ভিন্ন প্রকৃতির অতিমাত্রায় প্রগতিশীল মানুষ হয়ে উঠেছিলাম। সময়ের স্রোতের কাছে কিছু বিষয় ছেড়ে দিয়েছিলাম আমি। মানুষ কিই বা করতে পারে সেই স্রোতকে বিশ্বাস করা ছাড়া? তার যথাসর্বস্ব একটি সর্বচো শক্তির হাতে সঁপে দেয়া ছাড়া।
আচ্ছা, ঠিক কথা ।
ক্লেশিত যীশু ছাড়া মাতৃত্বের কষ্ট কেই বা অনুভব করতে পারবেন?
তবুও আমি ধর্মের টান প্রতিরোধ করবো; প্রকৃতপক্ষেই আমি তা প্রতিরোধ করবো।
It was always a mystery to me why the churches of Ireland were filled with women, and empty of men. I looked up at the crucifix and thought it was a bizarre thing for women to worship a man in a church run by men. As far as I was concerned being a Catholic was silly, and being a Jew meant so much more washing-up. What all religions do, however, is what most political systems fail to do — they prize and praise the figure of the mother.
She is the machine, the hidden power. She is the ideal, the revered one, the truly loved. Which makes up, in a way, for being skipped in shop queues and looking like a heap.
And more. On the third night of my child’s life I looked into her eyes and realised that nothing I believed could explain this. It was an embarrassing moment. I think I saw her soul. I suffered from the conviction that a part of her was ancient; and that part chose to be there with me at the beginning of something new. I had a wise child.
Carrying her out of the hospital and into the noise of the traffic; driving her home in second gear; feeding her in the middle of the night, and at the beginning of the night, and at dawn — so precious — I found myself shrinking in the face of her vast and unknowable future. How would she turn out? What would she do? When would she die? Not for many, many years, I hoped; not for the longest time. The mechanisms of fate, the grinding of her days that would lead to one end or another, became urgently opaque to me. There were a thousand things that could hurt this child, or even estrange her from me. What could I do? Nothing. My best.
These are all feelings that religion understands.
I had, I thought, become human in a different and perhaps more radical way. I had let something slip into the stream of time. What else can you do, but trust the river — put it all into the hands of a higher power?
Oh, all right.
And who else, but the suffering Christ, could know the suffering that motherhood brings?
Actually, I will resist the tug of it, if you don’t mind. Still, I will resist.
Anne Enright, ‘God’ in Making Babies: Stumbling into Motherhood, London: Vintage, 2005, 111-12.
***
Children are actually a form of brainwashing. They are a cult, a perfectly legal cult. Think about it. When you join a cult you are undernourished, you are denied sleep, you are forced to do repetitive and pointless tasks at random hours of the day and night, then you stare deep into your despotic leader’s eyes, repeating meaningless phrases, or mantras, like Ooh da gorgeous. Yes, you are! Cult members, like parents, are overwhelmed by spiritual feelings and often burst into tears. Cult members, like parents, spout nonsense with a happy, blank look in their eyes. They know they’re sort of mad, but they can’t help it. They call it love.
From ‘Baby-Talk’ in Anne Enright, Making Babies: Stumbling into Motherhood, London: Vintage, 2005, 138.
আমার কাছে সর্বদা এটি একটি রহস্য যে আয়ারল্যান্ড এর গীর্জাগুলি কেন মহিলাদের দ্বারা পরিপূর্ণ আর পুরুষ শুন্য থাকে। ক্রূশবিদ্ধ যীশুর মূর্তির দিকে তাকিয়ে আমার মনে হয়, মাহিলাদের পুরুষ চালিত গির্জাতে একটি পুরুষকে আরাধনা করা অতি আশ্চর্জজনক বিষয়। আমার কাছে ক্যাথলিক ধর্ম অবলম্বন করা নির্বুদ্ধিতা; ইহুদি হওয়া আরো বেশি মাত্রাতে তাই। সব ধর্ম সেটাই করে যা কোনো রাজনৈতিক তত্ত্বপদ্ধতি করতে স্বক্ষম হয় না। সব ধর্মই মাতৃত্বকে পুরস্কৃত করে; প্রশংসা করে মাতৃত্বের। তারা প্রচার করে মাতৃত্ব একটি অদৃশ্য শক্তি। মা একটি আদর্শ ; তিনি পূজনীয়; মায়েরই ঘেটে প্রকৃত ভালোবাসা প্রাপ্তি। এইভাবেই ধৰ্ম পূর্ণ করে মায়েদের সমস্ত অপ্রাপ্তি - নারী হিসেবে তাদের সর্ব সমোক্ষে অগ্রাহ্য হওয়া, বা তাদের শারীরিক সৌন্দর্য হারিয়ে যাওয়ার কষ্ট, এবং আরো অনেক না পাওয়া।
আমার কন্যা সন্তানের জীবনের তৃতীয় রাতে, তার চোখের দিকে তাকিয়ে আমার যে উপলব্ধি হয়, আমার মনে হয়ে না আমার অবলম্বন করা কোনো বিশ্বাসই তার সঠিক ব্যাখ্যা করতে পারবে। সেটি ছিল একটি বিব্রতকর মুহুর্ত । আমার মনে হয়েছিল আমি যেন সেই মুহুর্তে তার অন্তরাত্মা দেখতে পাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মায় যে আমার সন্তানের একটি অংশ আদি - প্রাচীন-অনন্ত, অপরটি আমার সঙ্গে রয়েছে কোনো এক নুতন শুভারম্ভের সূচনাতে। আমার সদ্যজাতো কন্যা যেন জ্ঞানের প্রতিরূপ ।
আমার সন্তানকে হাসপাতালের বাইরে যানবাহনের কোলাহলের মাঝে নিয়ে আসা, দ্বিতীয় গিয়ার্ এ গাড়ি চালিয়ে বাড়ি নিয়ে আসা , তাকে মধ্য রাত্রিতে বা ভোরে খাওয়ানোর অতি মূল্যবান মুহূর্তগুলির মধ্যে আমি যেন তার বৃহৎ অজানা ভবিষৎয়ের চিন্তায় তলিয়ে যেতে থাকি। কেমন মানুষ হয়ে উঠবে ও ? কি করবে ও? ওর মৃত্যুর দিনক্ষণই বা কবে ? আমি আশা করি তা যেন আগামী বহু বহু বছরের মধ্যে নয়। আগামী দীর্ঘ সময়ের মধ্যে নয়। কালের গতি যা ওর পরিণতি নির্ধারণ করবে আমার কাছে দ্রুত অস্বচ্ছ হয়ে আসে। এই অনিশ্চিত জীবনে , বহু কিছু আমার সন্তানের ক্ষতি করতে পারে , ওকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে আমার থেকে। কিন্তু কি করতে পারবো আমি তা প্রতিরোধ করতে ? কিচ্ছুই নয়; আমি শুধু আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে পারবো।
মানুষের এই অনুভূতিগুলিই ধর্ম উপলব্ধি করতে পারে।
আমার মনে হয়েছিল আমি সাধারণের পরিধি ভেঙে একজন ভিন্ন প্রকৃতির অতিমাত্রায় প্রগতিশীল মানুষ হয়ে উঠেছিলাম। সময়ের স্রোতের কাছে কিছু বিষয় ছেড়ে দিয়েছিলাম আমি। মানুষ কিই বা করতে পারে সেই স্রোতকে বিশ্বাস করা ছাড়া? তার যথাসর্বস্ব একটি সর্বচো শক্তির হাতে সঁপে দেয়া ছাড়া।
আচ্ছা, ঠিক কথা ।
ক্লেশিত যীশু ছাড়া মাতৃত্বের কষ্ট কেই বা অনুভব করতে পারবেন?
তবুও আমি ধর্মের টান প্রতিরোধ করবো; প্রকৃতপক্ষেই আমি তা প্রতিরোধ করবো।
Translation commentary
Sharmita Lahiri
A thought that often clouds my mind as I read translations from different languages is that the essence of the original is most of the times somehow or somewhat lost in the translation. This is true for translated texts I have read of languages I am not familiar with, as well as translations from English to Bengali or Bengali to English - the two languages I grew up learning to speak, read and write, simultaneously, and continue an equal association with formally and informally. With this premise guiding me, I endeavored my best to minimize this loss in my translation of Enright’s “God”.
Thus, what I needed to take into consideration from the very beginning was that a literal word to word, and sentence by sentence translation into Bengali, must be avoided as it would fail to do justice to Enright’s work. Additionally, the Bengali equivalents of certain words and expressions, for example, “silly”, “washing up”, “Which makes up in a way for being skipped in shop ques and looking like a heap”, “wise child”, “suffered from the conviction”, “how would she turn out”, among others, do not denote exactly what these words and expressions denote in English in Enright’s original text. A back translation of my Bengali version of some these expressions and words would read as follows:
- Original: “being a Catholic was silly and being a Jew meant so much more washing up”
My translation: “following the Catholic religion was unwise; being Jewish even more so.”
- Original: “Which makes up in a way for being skipped in shop ques and looking like a heap”
My translation: “This is how religion compensates for a mother being ignored as a woman in public places, the loss of her physical beauty, and many other losses.”
- Original: “suffered from the conviction”
My translation: “I developed a strong conviction.”
- Original: “wise child”
My translation: “my newborn daughter is an image of wisdom.”
- Original: “how would she turn out”
My translation: “what kind of a human would she develop into.”
I also had to take cognizance of the fact that English and Bengali differ substantially in terms of sentence structure. Hence, often the sequence of words in sentences had to be changed, or something needed to be added at the beginning or the ending of certain sentences in a bid to prevent them from becoming sentence fragments in Bengali. One such instance being, before the beginning of the sentence “There were a thousand things that could hurt my child”, in the translation I added “in this uncertain life”, to create a sense of completeness in terms of sentence structure in Bengali. Words that are not exact Bengali equivalents of the English words used had to be chosen with utmost attention to convey Enright’s thoughts without any shift of meaning. One example of this is, the word “radical” in Bengali has a very different connotation from what it has been used to mean in the original text. So instead of using the exact Bengali word for radical, a word aligning best with the meaning of the original text was chosen.
A particular aspect of Enright’s writing that I found very interesting in a section of “God”, is the sudden change to conversational or colloquial language – “Oh, all right.” - after the expression of profound thoughts in the preceding paragraphs. I made sure to capture this unique change of tone from profound to conversational or colloquial in my translation.
Training in literature and my own readings have made me aware that quite frequently readers of translations feel a sense of alienation from the original work, as often the sensibility articulated in the original language cannot be adequately conveyed in a different language. In fact, recently as I was deeply moved by a Bengali novel Arogya Niketan written by Tarashankar Bandopadhyay, I thought how wonderful it would be to make such piece of literature par excellence available to a global audience through a translation into English. However, I realized that it will extremely difficult, if not impossible, to encapsulate the vernacular sensibility of that text, set in rural Bengal several decades ago, in the English language. While I knew that translating such a novel was beyond my capability, I endeavored to not let inadequate articulation of the sensibility expressed in the original English text of “God” mark my Bengali translation of this work. This made reading and re-reading “God”, churning the ideas expressed in the work repeatedly in my mind to completely comprehend the thoughts and sensibility, and writing and re-writing the Bengali version ‘till I was convinced that original’s sensibility found adequate articulation in the Bengali translation, an absolute necessity. This process was also imperative to ensure that the profoundness of Enright’s ideas was not compromised in any form in my translation.
Translating “God” from English into Bengali has further facilitated my understanding of the nuances that translating involves. I also realized how translation is enriched through collaboration. The insightful comments and suggestions provided by my reviewer Udita Banerjee, our discussions ranging from the broader picture to even the minutest of details, helped to bolster the quality of the translated version. Translating Anne Enright’s “God” from English into Bengali has been at once challenging and intellectually deeply stimulating.